বাংলাদেশ জেন্ডার সমতা আনয়নের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। নারী অধিকার রক্ষার মাধ্যমে জেন্ডার সমতা আনয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিব্ধ। ফলশ্রুতিতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলের মধ্যে জেন্ডার বিষয়টি সন্নিবেশিত করা হয়েছে। জেন্ডার সমতা আনয়নের লক্ষ্যে সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করেছে এবং এ সংক্রান্ত পুরনো আইনের সংস্কারও করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সাথে একান্ততা প্রকাশ করে বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা, দাতা সংস্থা জেন্ডার বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলছে। যদিও জেন্ডার বিষয়ক সমতা আনয়নে আমাদের আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
স্বাস্থ্যখাতে জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার জেন্ডার এনজিও স্টেকহোল্ডার পার্টিসিপেশন ইউনিট (জিএনএসপি) নামে একটি ইউনিট স্থাপন করেছে যার মূল দায়িত্ব হলো স্বাস্থ্য খাতে জেন্ডার বিষয়কে বাস্তবায়ন করা। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় “এইচপিএনএসডিপি’ সেক্টর প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে চলেছে যেখানে জিএনএসপি ইউনিট তাদের নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণ করেছে। কর্ম পরিকল্পনা অনুযায় জিএনএসপিইউ প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদের জেন্ডার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। যার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে জেন্ডার বিষয়ে আরো বেশী জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গ আরো বেশী সংবেদনশীল হতে পারে, যা নারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।